আল্লাহ্ কি সত্যিই আছেন?
প্রাথমিক পর্যায়ে অবান্তর মনে হতে পারে এটা কিন্তু বাস্তবেই অনেক বেশী দেখী। অনেকেই বলবেন যে, “মাদার ন্যাচার, প্রকৃতি বা নিয়তি এমন শব্দাবলীর আড়ালে বহু বস্তুবাদী মানব রয়েছে আসলে আল্লাহর অস্তিত্বই স্বীকার করে থাকেন।

আল্লাহ্ কি সত্যিই আছেন?
এমন একটা প্রশ্ন আমরা প্রাই শুনে থাকি , প্রাথমিক পর্যায়ে অবান্তর মনে হতে পারে এটা কিন্তু বাস্তবেই অনেক বেশী দেখী। অনেকেই বলবেন যে, “মাদার ন্যাচার, প্রকৃতি বা নিয়তি এমন শব্দাবলীর আড়ালে বহু বস্তুবাদী মানব রয়েছে আসলে আল্লাহর অস্তিত্বই স্বীকার করে থাকেন। আমার সাথে একজন ইঞ্জিনিয়ার আমাকে হঠাৎ করে বলতেছে ভাই আল্লাহ যে আছে তার প্রমাণ কি? আমি তার কথা শুনে অবাক হয়ে গেছি আমি জানি বৌদ্ধরা তো পরকালকে বিশ্বাস করে, পরকালকে বিশ্বাস করা মানেই তো একজন সৃষ্টিকর্তা অবশ্যই আছেন। ইঞ্জিনিয়ার আমাকে বলতেছে আল্লাহকে আমারা কেউ দেখি নাই। আর না দেখ কোন কিছু বিশ্বাস করি না। তাখন আম তাকে প্রশ্ন করালাম আপনি যাকে বাবা বলে ডাকছেন সেজে আপনার জন্মদাতা বাবা সেটার প্রমান কি? তখন তিনি আমাকে বলছে এটাতো সবাই জানে তিনি যে আমার বাবা, তখন আমি তাকে বললাম এটাতো প্রমান করতে হবে। যখন এই কথা বললাম সে বল্ল ভাই বাদদিন।
এখান থেকে বোঝা যায় যে সে কেমন ইঞ্জিনিয়ার আর কেমন বিজ্ঞানী সে তার নিজের বাবার সন্তা যে সেই পরিচয়টা দিতে পারলো না। যে সমস্ত কুলাঙ্গার সন্তানরা নিজের বাবার পিত্র পরিচয় বিজ্ঞান দিতে পারেনা। সে আসে আবার আল্লাহ যে আছেন তার প্রমান চায়। নাস্তিদের কি যুক্তিরে ভাই।
অনেকে আছেন নামে মুসলিম কিন্তু অন্তরে বিশ্বাস করে বিজ্ঞানের আমি দেখেছি তারা কোরআন নিয়ে সন্দেহ পোষণ করে। বিজ্ঞান কিছু বললে তারা অন্ধের মত বিশ্বাস করে কিন্তু বিজ্ঞান যে মানুষকে অনেক ভূল তথ্য দিয়েছে এটা নিয়ে তাদের কোন কথাই নেই। কোন কথা শোনা যায় না। (সূরা বাকারা আয়াত নং ৭. আল্লাহ তাদের হৃদয়সমূহ ও তাদের শ্রবনশক্তির উপর মোহর করে দিয়েছেন (১), এবং তাদের দৃষ্টির উপর রয়েছে আবরণ। আর তাদের জন্য রয়েছে মহাশাস্তি।) বিস্তারিত জানতে
তাদের ভালো-মন্দ বুঝার কোন ক্ষমতা নেই( তারা শুধু একদিকে চিন্তা করে আর এক দিক থেকেই অন্ধের মত অনুসরণ করে আল্লাহ তাআলা দেওয়ার নেয়ামতকে অস্বীকার করে তারা মোটেও শুকরিয়া আদায় করে না শুধু বিজ্ঞানে আলোয় আলোকিত। আল্লাহর দেয়া কোন আলো তাদের অন্তরে নেই।
আসুন দেখে নেই বিজ্ঞানিদের ভুলবাল তথ্যগুলি:
মানব সভ্যতার কল্যাণে বিজ্ঞানের ভুমিকা অপরিসীম তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না। আর কিছু কিছু বিষয় আছে গবেষনা করতে গিয়ে ভুল তথ্যও আমাদের শেখানো হচ্ছে।
পদার্থ পোড়ানোর কারণ সম্পর্কে ভুল তথ্য:
১৬৬৭ সালে, জোহান জোয়াকিম বেচার নামে একজন জার্মান বিজ্ঞানী দহনের কারণ এবং প্রক্রিয়া সম্পর্কে বলেছিলেন যে যে কোনও পদার্থের মধ্যে (টেরা পিঙ্গুইস) নামক উপাদানের উপস্থিতির কারণে যে কোনও পদার্থ পুড়ে যায়। এর পরবর্তীতে কাল
১৭০৩ সালে (Georg Ernst Stahl) নামে আরেকজন জার্মান বিজ্ঞানী এই তত্ত্বটিকে সামান্য পরিবর্তন করে বলেন যে কোনো পদার্থই ফ্লোজিস্টন নামক উপাদানের উপস্থিতির কারণে পুড়ে, আগুনে পোড়ানোর সময় এই (ফ্লোজিস্টন) পদার্থ থেকে মুক্তি পায় এবং আগুন জ্বলতে থাকবে যতক্ষণ না এটি পুড়ে শেষে হয়ে যায়। পদার্থ থেকে নির্গত ফ্লোজিস্টন বাতাসের সাথে মিশে যায়, গাছপালা বাতাস থেকে এই (ফ্লোজিস্টন) যে কারণে বাতাস আগুনে পোড়ে না।
এই তত্ত্ব অনুসারে যখন কোন পদার্থকে সীমিত স্থানে পুড়িয়ে ফেলা হয় তখন সেই আগুন কিছুক্ষণ পর নিভে যাবে কারণ গুলি ব্যাখ্য করে সেখানে সীমিত পরিমাণে ফ্লোজিস্টন থাকে যা বাতাস শোষণ করতে পারে। যখন উপাদানটি এই সীমার চেয়ে বেশি ফ্লোজিস্টন প্রকাশ করে, তখন বাতাস অতিরিক্ত ফ্লোজিস্টন শোষণ করতে পারে না এবং আগুন নিভে যায় এই হলো তাদের তথ্য। ফ্লোগিসটন গ্রহণ করতে পারে না ফলে তখন আগুন নিভে যায়।
১৭৭৪ সালে জোসেফ প্রিস্টলি যখন অক্সিজেন আবিষ্কার করেছিলেন তখন তিনি ভেবেছিলেন এটি (ফ্লোজিস্টন) খালি বাতাস তখন এটার কারণ বলেছিলবিজ্ঞান যে বাতাসে ফ্লোজিস্টন কম থাকলে দহন বেশি হবে। আর বাতাসে ফ্লোজিস্টন পূর্ণ হলে দহন বন্ধ হয়ে যাবে।
১৭৭৫ সালে, ফরাসি বিজ্ঞানী (আন্টোইন লরেন্ট ল্যাভিসিয়ার) অক্সিজেন সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ করেছিলেন এবং তারপর থেকে ফ্লোজিস্টন নামে পরিচিত এই কাল্পনিক পদার্থের ধারণাটি বিলুপ্ত হয়ে গেছে।
বর্তমান কিছু বিজ্ঞানের অতী অন্ধ বিজ্ঞানের কথা শুনলেই মনে করে এটাই ঠিক। সত্যি কথা বলত তাদের যাচাই-বাছাই করার ক্ষমতা ওদের কোন ক্ষমতাই নেই। শুধু শোনেই বিজ্ঞানের অন্ধ বিস্বাসী। শুধু আল্লাহ তালা দেওয়ার বিধান নিয়ে ওদের সমস্যা। আল্লাহর দেওয়া বিধানের কথা বললেই তারা অনেক যাচাই-বাছাই শুরু করে আবার বলে আমি মুসলমান।
বিগ ব্যাং? কোরান বলে যে " আকাশমন্ডল ও পৃথিবী এক একক হিসাবে সংযুক্ত ছিল, আমরা তাদের বিচ্ছিন্ন করার আগে" (21:30) । এই বড় বিস্ফোরণের পরে, আল্লাহ "আকাশের দিকে ফিরে গেলেন, এবং এটি ছিল (রূপ) ধোঁয়া। তিনি এটিকে এবং পৃথিবীকে বললেন: 'স্বেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় একত্রিত হও। আর বিজ্ঞান দিয়েছেন আজ থেকে ১০০ বছর আগে। আর এটা কোরআনে উল্লেখ করা হয়েছে প্রায় ১৪৫০০ আগে।
What's Your Reaction?






